প্রকাশ :
২৪খবর বিডি: 'চট্টগ্রামের উন্নয়ন প্রকল্প নিয়ে আক্ষেপ প্রকাশ করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।'
* তিনি বলেন, যখন কোনো প্রকল্প নেওয়া হয়, তখন দেখা যায়, রাজধানী ঢাকার জন্য একটি ও সব বিভাগীয় শহরের জন্য একটি প্রকল্প নেওয়া হয়। অথচ সব শহর ও চট্টগ্রাম তো এক জিনিস নয়। বিশেষ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ঢাকার মানুষ বলে চট্টগ্রামের দিকে নজর দেন না।
শুক্রবার (১৩ মে) সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম সমিতির এক সম্মাননা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। রাজধানীর তোপখানা রোডে চট্টগ্রাম সমিতি ভবনে এই অনুষ্ঠান হয়।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ' স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় কিছু প্রকল্প নিচ্ছে, ঢাকা এবং সব বিভাগীয় শহরে। দেখা যায়, ময়মনসিংহের জন্য যে মাপের প্রজেক্ট নিচ্ছে, চট্টগ্রামের জন্যও সে মাপের প্রকল্প। এটা তো কোনোভাবেই সমীচীন নয়। আমি স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছি। তিনি তো ঢাকা অঞ্চল মানিকগঞ্জের মানুষ। সেজন্য তিনি চট্টগ্রাম সম্পর্কে কতটুকু জানেন আমি জানি না। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চট্টগ্রামের গুরুত্ব অনুধাবন করেন। চট্টগ্রামে কর্ণফুলী টানেল হচ্ছে। চট্টগ্রামে মেট্রোরেল করার জন্য এরই মধ্যে দিয়েছেন নির্দেশনা। চট্টগ্রাম বিমানবন্দরের উন্নয়নের জন্য পদক্ষেপ নিচ্ছেন। চট্টগ্রাম সম্পর্কে তার যে ধারণা আছে, সরকারের অন্যান্যদের মাঝে সে ধারণা নেই।'
'' ' স্বাস্থ্যমন্ত্রী ঢাকার' বলে চট্টগ্রামের দিকে নজর দেন না ''
* ময়মনসিংহ জেলাকে উদাহরণ টেনে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ময়মনসিংহ বিভাগীয় শহরে তিন থেকে চার লাখ মানুষ। কিন্তু চট্টগ্রামে মানুষ প্রায় এক কোটি। ৮৫ লাখ মানুষ বসবাস করে মেট্রোপলিটন এলাকায়। মেট্রোপলিটনের এলাকা বাড়বে। বাড়লে লোক সংখ্যা এক কোটি ছাড়াবে। শহর ও জেলা মিলিয়ে পৌনে দুই কোটিরও বেশি মানুষ চট্টগ্রামে বসবাস করে। অথচ উন্নয়ন করতে গেলে সুনজর নেই।
নিজের শৈশবের স্মৃতি তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন,' স্কুল জীবন থেকেই ছাত্রলীগ করতাম। সভা-সমাবেশ হলে করতাম মাইকিং। আমি যখন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তাম, তখন কবিতা পাঠ করতাম। পরবর্তীতে রাজনীতিতে খুব বেশি জড়িয়ে কবিতা পাঠ কিংবা খেলাধুলা সব চলে গেছে। এরপর পুরোপুরি রাজনীতিতে ঢুকে পড়ি। আগে তো পত্রিকায় শিশুদের জন্য পাতা থাকতো। সব শিশুরাই লেখালেখিতে উৎসাহী হতো। এখন আর সেটি দেখা যায় না।'
* অনুষ্ঠানে ২০২২ সালে স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্ত চিকিৎসক ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক কনক কান্তি বড়ুয়া, একুশে পদকপ্রাপ্ত দৈনিক আজাদীর সম্পাদক এম এ মালেক এবং ২০২১ সালে বাংলা একাডেমি পুরস্কারপ্রাপ্ত কবি বিমল গুহ, কবি আসাদ মান্নান এবং কবি ও সাহিত্যিক বিশ্বজিৎ চৌধুরীর হাতে সম্মাননা তুলে দেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী।